পাওয়ার ব্যাংকযুক্ত বাড়তি চার্জিং কেস ব্যবহার করা যায় এই স্মার্টফোনে
Published: 15th, March 2025 GMT
দেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন এনেছে আইটেল। ‘আইটেল পাওয়ার ৭০’ মডেলের এ ফোনে ছয় হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বিল্ট ইন ব্যাটারি ও চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংকযুক্ত বাড়তি চার্জিং কেস রয়েছে। ফোনটিতে একসঙ্গে ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় একবার চার্জে টানা ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব। ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জও করা যায় ফোনটি, ফলে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইটেল বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চি এইচডি (হাই ডেফিনেশন) প্লাস পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৪ গিগাবাইট র্যামযুক্ত ফোনটিতে চাইলে ১২ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যাম ব্যবহার করা যায়। ফোনটির পর্দার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ, ফলে উন্নত গ্রাফিকসের গেম খেলার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে ছবি ও ভিডিও দেখা সম্ভব। পানি ও ধুলা প্রতিরোধক সুবিধা থাকায় ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না ফোনটিতে। সহজে বহনযোগ্য চার্জিং কেস থাকায় চলতি পথে সহজেই ফোনটি চার্জ করা যায়।
হেলিও জি ৫০ আলটিমেট প্রসেসর সুবিধার ফোনটির সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা ও পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ফলে কম আলোতেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়। চার্জিং কেসসহ ও ছাড়া ফোনটির দাম যথাক্রমে ১১ হাজার ৯৯০ টাকা ও ১০ হাজার ৯৯০ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।