পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জান্নাতি বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ফিরোজ সিকদার। তিনি পেশায় ট্রাকচালক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামে ফিরোজের বাড়ি থেকে জান্নাতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করেন জান্নাতির বাবা হাবিবুর রহমান। মামলায় জান্নাতির স্বামী ফিরোজ ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারের অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে ট্রাকচালক ফিরোজের সঙ্গে জান্নাতির বিয়ে হয়। এর পর থেকে যৌতুকের দাবিতে ফিরোজ ও তাঁর মা ফিরোজা বেগম মিলে জান্নাতিকে নির্যাতন করতেন। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জান্নাতির ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁর লাশ নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শামীম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, জান্নাতির বাবার দায়ের করা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ