৬০ বছরে পা দিয়েছেন আমির খান। জন্মদিন উপলক্ষে মুম্বাইয়ের এক হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই নতুন প্রেমিকা গৌরী স্প্র্যাটের পরিচয় করিয়ে দেন আমির।
তবে গৌরীর ছবি প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন অভিনেতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক আমিরের নতুন প্রেমিকা সম্পর্কে।
আমির ও গৌরীর প্রথম দেখা ২৫ বছর আগে। মাঝখানে যোগাযোগ হারিয়ে গিয়েছিল। তবে কয়েক বছর আগে তাঁদের আবার যোগাযোগ হয়। গৌরী থাকেন বেঙ্গালুরুতে, আগে একটি বিয়েও করেছিলেন। ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে তার। মতবিনময়কালে আমির জানান, তার সন্তান ও পরিবারের অন্যরা গৌরীর সঙ্গে দেখা করেছেন; সবাই খুব খুশি।
আমির বলেন, ১৮ মাস ধরে তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন। এরপর আমির মজা করে মিডিয়ার জন্য বলে ওঠেন, ‘দেখুন, আপনাদের কিছুই টের পেতে দেইনি!’ অভিনেতা আরও জানান, গৌরীকে তিনি শোবিজ দুনিয়ার জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছেন।
গৌরী স্প্র্যাট আদতে আমির খানের হাউসে কাজ করেন। আমির খান এদিন জানান, তিনি এই সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু তাই নয়, তিনি ভীষণ খুশিও।
প্রেম করলেও আমির খানের ছবি খুব বেশি দেখেননি তার বর্তমান প্রেমিকা, শুধু ‘দঙ্গল’ ও ‘লগান’ দেখেছেন। সাংবাদিকদের নিজেই একথা জানিয়েছেন আমির।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই আমির খানের নতুন এই সম্পর্কের গুঞ্জন চাউর হয়। অবশেষে সেটা আনুষ্ঠানিক জানালেন অভিনেতা। এর আগে গৌরীকে দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাহরুখ খান ও সালমান খানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আমির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন আম র খ ন ন আম র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।