সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার সুযোগ নেই: এবি পার্টি
Published: 15th, March 2025 GMT
কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, যথাযথ বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, সরকার কখনো বিএনপি, কখনো ছাত্রদের মন জুগিয়ে চলতে গিয়ে নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে ফেলছে। এই সরকার যদি তার লক্ষ্য অর্জনে সফল না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে বলেও সতর্ক করেন।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দলের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এবি পার্টির বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘এবারের রমজানে অন্যান্যবারের মতো দ্রব্যমূল্য বাড়েনি, বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়েও কোনো তেলেসমাতি ঘটেনি, যানজট নিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আরও আন্তরিক হলে আমরা আরেকটু স্বস্তি পেতাম।’ তিনি বলেন, ‘এ থেকে আমরা বুঝলাম যে সরকার আন্তরিক হলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস প্রথমে বললেন তিনি আমাদের সহযোদ্ধা এবং তাঁর কথা আমাদের শুনতে হবে। আমরা এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলাম। তিনি যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো কোনো আপত্তি করেনি। ইদানীং তিনি বলা শুরু করেছেন; তিনি আমাদের সহযোগী এবং আমরা যেভাবে চাই সেভাবে তিনি করবেন। কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে আর বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন।’
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যকে ‘সরকারের পিছু হটার লক্ষণ’ উল্লেখ করে মজিবুর রহমান বলেন, সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি টেকসই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে হলেও পতিত ফ্যাসিবাদের আবার উত্থান ঘটবে। এ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই তখন রেহাই পাবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর এবি পার্টির আহ্বায়ক গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.
ইফতার মাহফিলে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, জনসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, শিক্ষক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক