তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সানিকে গুরুতরভাবে আঘাত করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিদ মাহমুদ বলেন, “দুপুরে আমি গণিত বিভাগের দিকে গেলে সানি ভাই আমাকে ডাক দেয়। আমি সেখানে গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর আকিব এবং খাজা আসে। ওরা এসে বলে, তোমরা যে এখানে ইফতার মাহফিল করছো, কার থেকে অনুমতি নিয়েছো? এ কথা বলে তারা ব্যানার খুলতে যায়। সানি ভাই বাঁধা দিতে গেলে খাজা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।”

আরো পড়ুন:

বাকৃবি ও ইবি শাখা ছাত্রদলের গণইফতার

২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

তিনি বলেন, “হামলার পর আহতাবস্থায় সানি ভাইকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার চিকিৎসার জন্য ছয়টি সেলাই দেওয়া লেগেছে।”

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন বলেন, “আমরা নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল করেছি। কিন্তু আজ জাহাঙ্গীর সানির নেতৃত্বে নিষিদ্ব সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আমরা তাদের গিয়ে বাঁধা দিয়েছি। ব্যানার খুলতে গেলে জাহাঙ্গীর সানি আমার ওপর হামলা করে। সেখানে আমার ছোট ভাই আবিকও উপস্থিত ছিল।”

কিন্তু জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার সময় উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে আবিক বলেন, “কলেজে নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ একটাই আছে। আমি আজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখতে পাই, নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নামে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে। বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির সঙ্গে আমার পূর্বের বিরোধ ছিল।”

তিনি বলেন, “বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিকে ক্যাম্পাসে পেয়ে আমি তাকে থানায় দিতে চাই, তখন সে আমার ওপর হামলা করে। পরে শুনতে পারি, জাহাঙ্গীর সানি হাতুড়ি নিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন ভাইকে হামলা করতে আসে। তখন জাহাঙ্গীর সানির ঘুষিতে খাজা মঈনুদ্দিন আহত হয়।”

এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, “এটা তাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের বিষয়। এতে ছাত্রদলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে সংগঠন যদি তার বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৫ মার্চ) মাগরিবের নামাজ শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতুমীর কলেজ শাখা। এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ত ত ম র কল জ ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় পালিয়ে গেছেন চালকের সহকারী।

রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আউশকান্দির তিনতালাব পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া (২৫) উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলীর ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।

নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘রবিবার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বাসে উঠেন ওই কলেজছাত্রী। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরে। পরে বাড়ি ফেরার জন্য মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাসে উঠেন তিনি। বাসটি আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে বাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’

আরো পড়ুন:

রাজবাড়ী‌তে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ