দরিদ্রদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে সায়হাম গ্রুপ
Published: 16th, March 2025 GMT
প্রতিবছরের মত এবারও হবিগঞ্জের গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান সায়হাম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সলের উদ্যোগে মাধবপুর-চুনারুঘাট উপজেলার ২০ হাজার পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে সায়হাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মো.
জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ও চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, হবিগঞ্জের দুই উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার অসহায়, অস্বচ্ছল লোকজন রয়েছেন। তাদের ইফতারসামগ্রীর অভাব রয়েছে। টাকার অভাবে এসব এলাকার মানুষ ভালোভাবে খাবার কিনতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সলের উদ্যোগে এসব ইফতারসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গ্রামের গরীব অসহায় মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, সবার ঘরে ঘরে ইফতারসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সায়হাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ঈশতিয়াক বলেন, শুরুর পর থেকেই চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ফয়সলের অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠানটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ, পূজা, দুর্যোগ দুর্বিপাকে যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সায়হাম গ্রুপ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি এলাকার মসজিদ, মন্দির, চিকিৎসা, এতিমখানাসহ দলমত নির্বিশেষে সব কল্যাণমুখী কাজ করে যাচ্ছে। আজীবন আমরা মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই।
শিল্পগ্রুপটির পরিচালক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান বলেন, সায়হামের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, এলাকাবাসীর উন্নয়ন। এই মহৎ বাসনা থেকে সায়হাম যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রয়াস সবসময় অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ধবপ র উপজ ল র ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি