ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে নিয়মিত তারহীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে দীর্ঘদিন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে বা পাসওয়ার্ড জটিল হলে তা মনে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে নতুন ফোনে ইন্টারনেট চালু করতে বা কেউ ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড জানতে চাইলে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তবে চাইলেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকা যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে ভুলে যাওয়া ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড জানা যায়। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড জানার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুনপাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে২০ অক্টোবর ২০২২

স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড জানার জন্য প্রথমে ফোনের সেটিংস অ্যাপ খুলে ওয়াই-ফাই অপশনে যেতে হবে। এরপর যে নেটওয়ার্কে ফোন যুক্ত রয়েছে, সেটির পাশে থাকা গিয়ার আইকনে ক্লিক দিতে হবে। এবার পাসওয়ার্ড ফিল্ডের পাশে থাকা ‘আই’ আইকনে ক্লিক করলেই স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড দেখা যাবে।

আরও পড়ুনওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সিগন্যাল কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে১৮ অক্টোবর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প সওয় র ড জ ন ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে সুরের মূর্ছনায় মাতালেন নকীব-তাহসান

বাংলা সংগীতের দুই প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই শিল্পী নকীব খান ও তাহসান খান এক মঞ্চে উঠে মুগ্ধ করলেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আয়োজন করা এই বিশেষ কনসার্টে উদ্‌যাপিত হয় সংগীতজগতের দুটি মাইলফলক—নকীব খানের সংগীতজীবনের সুবর্ণজয়ন্তী এবং তাহসান খানের রজতজয়ন্তী। গত শনিবার লিভারপুল ক্যাথলিক ক্লাবের (এলসিসি) থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান, যার শিরোনাম ছিল ‘জেনারেশনস অব মেলোডিজ’।
সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া কনসার্টে সিডনিতে বসবাসরত কয়েক শ সংগীতপ্রেমী অংশ নেন। শুরু থেকেই একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন দুই শিল্পী।

নকীব খান ‘মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’সহ আরও অনেক গান গেয়ে শ্রোতাদের ফিরিয়ে নেন সোনালি অতীতে। মঞ্চে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীত তারকা তাহসান খান পরিবেশন করেন তাঁর আলোচিত গান ‘আলো আলো’, ‘বিন্দু তুমি’, ‘মাঝে মাঝে’সহ আরও কয়েকটি গান। তাহসানের তারুণ্যদীপ্ত পরিবেশনা শ্রোতাদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে। পুরো অডিটরিয়ামে তখন তৈরি হয় মেলোডির অনন্য মেলবন্ধন—একদিকে নকীবের নস্টালজিক সুর, অন্যদিকে তাহসানের আধুনিক আবেগময় গান।

অনুষ্ঠান শেষে দর্শকেরা জানালেন তাঁদের মুগ্ধতার কথা। প্রবাসী আবাসন নির্মাতা তালাত মাহমুদ বলেন, ‘নকীব খানের গান শুনে বড় হয়েছি। আজ তাঁকে সরাসরি মঞ্চে দেখে মনে হলো, এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা।’ কেক এন বেকের কর্ণধার মাসুম খান বলেন, ‘তাহসানের গান আমার সব সময়ের প্রিয়। আজকের কনসার্ট ছিল স্বপ্নের মতো।’ ‘আমাদের কথা’র সম্পাদক পূরবী পারমিতা বোস বলেন, ‘পরিবারের সবাই মিলে এমন একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানো সত্যিই অসাধারণ। নকীব খান ও তাহসান—দুজনই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন।’
এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়া। সহযোগী হিসেবে ছিল ক্রেজি টিকেটস ও ধূমকেতু ব্যান্ড।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে আইকনিক ট্রেড অস্ট্রেলিয়ার কর্ণধার মোশারফ রেহান বলেন, ‘সিডনিবাসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছাড়া এমন একটি সফল আয়োজন সম্ভব হতো না। নকীব ও তাহসানের মতো শিল্পীদের এক মঞ্চে পাওয়া আমাদের জন্যও ছিল বড় প্রাপ্তি।’
সব মিলিয়ে সিডনিতে অনুষ্ঠিত এই কনসার্ট হয়ে উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে স্মরণীয় এক সংগীতযাত্রা। যেখানে মিশেছে দুই প্রজন্মের সংগীতধারা, নস্টালজিয়া আর আধুনিকতার অনবদ্য সুর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিডনিতে সুরের মূর্ছনায় মাতালেন নকীব-তাহসান