আজিজুলের ফিফটি, লিটনের ২২, গুলশানের শেষ হাসি
Published: 16th, March 2025 GMT
আগের ম্যাচে ফিফটি পেলেও এবার থামতে হয়েছে আগেই। অভিজ্ঞ লিটন দাস হাল ধরতে না পারলেও তরুণ আজিজুল হক তামিমের ব্যাটে ভর করে শেষ হাসি হেসেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
রোববার (১৬ মার্চ, ২০২৫) মিরপুর শের-ই-বাংলায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে গুলশান। তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। ৫৭ রানের জয়ে শেষ হাসি হাসে গুলশান।
সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রবিউল ইসলাম রবি। ২৯ রান আসে জয়রাজ শেখের ব্যাট থেকে। ১৯ রান করেন আদিল। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ছোট লক্ষ্য হলেও কাছেই যেতে পারেনি পারটেক্স।
আরো পড়ুন:
আবাহনীর জয়ের দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
ব্যাটিংয়ে নাঈম-জাকির-শামীমদের করুণ দশা!
গুলশানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল, নিহাদ উজ্জামান ও নাঈম ইসলাম।
এর আগে গুলশানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন আজিজুল হক তামিম। ৭৯ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এ ছাড়া ৩২ রান করেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। আগের ম্যাচে ৬০ রান করা লিটন আউট হন ২২ রানে। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তৌফিক আহমেদ।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।