ফতুল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আবু সাঈদ মুন্নার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা জামায়াতে ইসলামীর আমীর (দক্ষিণ) মাওলানা নাসির উদ্দিন, ফতুল্লা জামায়াতে ইসলামীর আমীর (পশ্চিম) নুরুল হক,জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল (পশ্চিম) মাওলানা আঃ করিম,সেক্রেটারি জেনারেল (দক্ষিণ) হাফেজ মোঃ এনামুল হক। ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আঃ রহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সী, সহ-সভাপতি পিয়ার চাঁন,যুগ্ম সম্পাদক আলামিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু,সাধারণ সম্পাদক মোঃসোহেল, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন,  ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, নিউজ প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, দপ্তর সম্পাদক এমএ সুমন, প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলী,কার্যকরি সদস্য সেলিম হোসেন, রাশেদুল ইসলাম,আরিফ হোসেন, সোহেল রানা,মোকলেসুর রহমান তোতা, রাহাত হোসেন, মামুনুর রশীদ মুন্না, সাব্বির আহমেদ,শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইফত র ল ইসল ম ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ