চলতি মার্চের প্রথম ১৫ দিনে ১৬৫ কো‌টি ৬১ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৪ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন এসেছিল ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গড়ে প্রতিদিন আসে ৯ কোটি ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৭ ডলার।  

তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।  

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ডলার।  


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ