আ. লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে: শামা ওবায়েদ
Published: 16th, March 2025 GMT
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, “হাসিনা চলে গেছে কিন্তু ষড়যন্ত্র যায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর যারা আমাদের মধ্যে ছিল না, যাদের কখনো কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেখিনি তাদের ঘাড়ের ওপরে সওয়ার হয়ে আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এখনো আমরা ভোটাধিকার পাইনি। শেখ হাসিনা নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সর্বাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ফখরুল
ঝিনাইদহে বিএনপির ১৫ হাজার নেতাকর্মীর ইফতার
শামা ওবায়েদ বলেন, “আমাদের ১৭ বছরের যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। উনাকে অন্যায়ভাবে ছয়টি বছর মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। বন্দি অবস্থায় উনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও আমরা শুনতে পেয়েছিলাম। উনাকে বলা হয়েছিল- আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান তাহলে আপনাকে জামিন দেওয়া হবে। তারপরেও উনি স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেননি। বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইসটা (আত্মত্যাগ) করেছেন খালেদা জিয়া।”
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফজলুল হক টুলু ও আজম খান, ড্যাবের জেলা শাখার সভাপতি ডা.
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?