টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে চারটি মামলায় ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৭ মার্চ) টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালত একটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় ১৪ দিন এবং মির্জাপুর আমলী আদালত একটি হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, ছানোয়ার হোসেনকে আজ দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরো দুইটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান স্কুল শিক্ষার্থী মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০দিন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি রিমান্ডে

দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ পলক রিমান্ডে

পরে ছানোয়ার হোসেনকে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহম্মদ বলেন, ‍“আজ থেকেই ছানোয়ার হোসেনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।”

ছানোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর থেকে কেরানিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ