গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি পান হামজা চৌধুরী। এরপর শুরু হয় তার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অপেক্ষা। ভক্তরা তাকিয়ে ছিলেন মার্চের দিকে। ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হবে। 

হামজা ভারতের শিলংয়ে ওই ম্যাচ খেলার আগে বাংলাদেশে এসেছেন। সোমবার সিলেট থেকে হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়ি স্বানঘাটে আসেন তিনি। সেখানে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রশ্নের জবাবে হামজা জানান, লাল-সবুজের আট নম্বর জার্সি পরতে চান তিনি। 

হামজা বলেন, ‘৮ নাম্বার জার্সি পরে খেলবো আমি।’ এছাড়া জানান যে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কোন চাপ অনুভব করছেন না। ভারতকে হারানোর ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী লেস্টার সিটি থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব শেফিল্ডে ধারে খেলা হামজা চৌধুরী। 

সাধারণত ৮ নম্বর জার্সি পরের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডাররা। রিয়াল মাদ্রিদে যেমন ট্রনি ক্রুস ৮ নম্বর জার্সি পরতেন। আর্সেনালে মার্টিন ওডেগার্ড ৮ নম্বর জার্সি পরেন। বার্সেলোনার তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি পরেন ৮ নম্বর জার্সি। অনেক সময় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডাররাও ৮ নম্বর লেখা জার্সি পরে খেলেন। 

হামজা চৌধুরী জাতীয় দলের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনেই তাকে খেলানো হতে পারে। যদিও ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড ও রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেছেন। হামজা লেস্টার সিটিতে ১৭ ও ৩৮ নম্বর জার্সি পরেছেন। ওয়াটফোর্ডে তার জার্সি ছিল ৪ নম্বর। বর্তমানে শেফিল্ডে তিনি ২৪ নম্বর জার্সি পরেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ