এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ডিসির ঈদ উপহার ও ইফতার
Published: 17th, March 2025 GMT
এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার মাহফিল করলেন মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে ফতুলার মুসলিমনগর বায়তুল আমান সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের নিয়ে তিনি এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ সমাজে যারা পিছিয়ে পরে আছে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এখানে যারা এতিম হিসেবে আছে, তারা এতিম নয়।
আমরা সবাই তাদের পাশে আছি। সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হাসি ফোটাতেই আমরা তাদের কাছে এসেছি। তাদের নতুন পোষাক দিয়ে হাসি ফোটাতে চাই। এ জীবন শুধু দুঃখের নয়। উন্নত রাস্ট্র গড়তে চাইলে যারা পিছিয়ে আছে তাদের নিয়েই গড়তে হবে। প্রত্যকটি শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ড.
সহকারি কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান নূর, জেলা সমাজ সেবা অফিসার আসাদুজ্জমান সরদার, জেলা তথ্য অফিসার কামরুজ্জামান, ডেপুটি কালেক্টর নেজারত মো.তামশিদ ইরাম খান ও এতিম খানার তত্ত¡াবধায়ক মো. রিয়াজ উদ্দিন সহ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গণ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস