নরসিংদীর রায়পুরায় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ গতকাল সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে গতকাল ওই গৃহবধূ প্রথমে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. কলিমুল্লাহর কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিচার দাবি করেন। তখন তাঁকে দ্রুত রায়পুরা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মো.

কলিমুল্লাহ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে তারাবিহর নামাজ চলাকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় রাকিব মিয়া (৩২) নামের এক যুবক দুজন সহযোগীসহ গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে পড়েন। ওই সময় বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। তাঁকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন রাকিব। আর তাঁর দুই সহযোগী মুঠোফোনে ভিডিও করেন। পরে তাঁর কান ও গলার সোনার গয়না ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এ সময় রাকিব তাঁকে হুমকি দেন, ‘কাউকে জানলে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে জবাই করে হত্যা করা হবে।’

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী এক গৃহবধূ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত রাকিব মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ