১৭০ বল, ২২টি ছক্কা, ৫০টি চারে ৪০৪ রান! স্কোর দেখে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি সত্যিই করেছেন ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোস্তাকিম হায়দার। প্রতিপক্ষ সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের বিপক্ষে মোস্তাকিমের এই ইনিংস আলোড়ন তুলে। 

প্রাইম ব্যাঙ্ক স্কুল ক্রিকেটে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় ক্যামব্রিয়ান-গ্রেগরি। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ৭৭০ রান করে ক্যামব্রিয়ান। তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে অলআউট হয় গ্রেগরি। ক্যামব্রিয়ান ৭৩৮ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। 

মোস্তাকিমের ৪০৪ রানের পাশাপাশি ২৫৬ রান করেছেন সাদ পারভেজ। ৭১ রানে দুই উইকেটের পতনের পর মোস্তাকিম-সাদের জুটি শুরু হয়। দুজনে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে যোগ করেন ৬৯৯ রান! ১২৪ বলে ৩২টি চার ও ১৩টি ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান সাদ। 

ওপেনিংয়ে নামা মোস্তাকিম বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৭২টি। কিভাবে সম্ভব এটি? বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদকর্মীর এমন কৌতুহুলি প্রশ্নে হেসে ওঠেন মোস্তাকিম। যেন তার জন্য ডাল-ভাত। পরে জানালেন রহস্যও। 

“অনুশীলনে সবসময় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করা হয়। আমার কোচ বলেন, যা-ই মারবে জোর দিয়ে মারবে। মন্থর ক্রিকেট খেলা যাবে না। ক্রিকেট তো আধুনিক হয়ে গেছে। ওভাবেই তাল মিলিয়ে চেষ্টা করছি।”

শুরুতে কিছুক্ষণ ব্যাটিংয়ের পর মোস্তাকিম বুঝে গেছেন আজ তার দিন, “নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল আজকে একটা কিছু করার। ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করছিলাম ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করার। পরে দেখলাম যে ভালো লাগছে, তখন মনে হচ্ছিল যে পারব।”

মোস্তাকিমের আইডল সাকিব আল হাসান। অবসরে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট দেখতে তার ভালো লাগে। সেখান থেকেই পেয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ের নেশা। ক্রিকেট দেখা নিয়ে এই খুদে ক্রিকেটার বলেন, “ক্যারিবিয়ানদের টুর্নামেন্টগুলো দেখতে ভালো লাগে। সেখানে পাওয়ার হিটিং বেশি হয়। ওগুলো দেখতে ভালো লাগে। পছন্দের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।”

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ