রাজধানীর পল্লবীর পর এবার কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটল। আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কাফরুলের কচুক্ষেত এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ হামলা হয়। তখন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, জাপার মহাসচিবের বক্তব্য চলাকালে ১০ থেকে ১২ জন রেস্তোরাঁয় ঢুকে হইচই শুরু করে অনুষ্ঠান পণ্ড করার চেষ্টা করে। তখন উপস্থিত জাপার নেতা-কর্মীরা তাদের বের করে দেন।

ওই সূত্র জানায়, তাড়া খেয়ে বেরিয়ে এসে ওই ব্যক্তিরা সংগঠিত হয়ে হকিস্টিক, ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হামলার এক পর্যায়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনেকে রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে যান। অনেকে হামলায় আহত হন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তাঁরা হামলাকারীদের পিটিয়ে সরিয়ে দেন।

জাপার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেসব লোক হামলা করেছে, তাদের বস্তির ভাড়া করা লোক মনে হয়েছে। তাদের একটাই কথা, প্রোগ্রাম (ইফতার) বন্ধ করতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, তোমরা কারা, তোমাদের কী পরিচয়? তারা কিছুই বলে না।’

এর আগে ৮ মার্চ রাজধানীর পল্লবীতে বাধার মুখে জাপার ইফতার মাহফিল ভন্ডুল হয়ে যায়। পল্লবী থানাসংলগ্ন ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে ওই ইফতার মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টি। ওই ইফতারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তখন তিনি রাস্তায় ছিলেন।

দলীয় সূত্রটি জানায়, কাফরুলে ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় দলের ১০-১২ জন কর্মী ছাড়াও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল উদ্দিনসহ অনেক নেতা-কর্মীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ