রাউজানে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গোলাগুলি
Published: 19th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে ইফতার মাহফিল আয়োজন নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুটি পক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে। এতে একজন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের অদুদ চৌধুরী ঈদগাহ মাঠ, ইউসুফ দিঘি পাড় ও গহিরা চৌমুহনী এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম আবদুল কাইয়ুম (২৮)। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী মুহাম্মদ সেকান্দর (২৮), তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন কুমার নাথ (৪৭), বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী মুহাম্মদ মোরশেদ আলম (৪০), মুহাম্মদ বাদশা। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সবার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেলে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নোয়াজিশপুর গ্রামের অদুদ চৌধুরী ঈদগাঁ মাঠে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে গোলাম আকবরের অনুসারীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে মাহফিল শুরু হলে মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২২ জন লোক এসে মাহফিলে থাকা সবাইকে চলে যেতে বলেন। সেখানে ইফতার মাহফিল হবে না বলে জানান। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে গেলে গোলাম আকবরের অনুসারী নেতা–কর্মীরা পাশের মসজিদে গিয়ে ইফতার সারেন। সন্ধ্যার পর আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইউসুফের দিঘি এলাকায় পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র অন স র ল ম আকবর ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসন সংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরো ১৮টি নতুন বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু এবং ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ল্যাবভিত্তিক বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ১৮টি বিভাগ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো—সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো—ইসলামিক স্টাডিজ ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্যবসায়িক তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগ এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো— বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ, পুরকৌশল বিভাগ এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো— অপরাধবিদ্যা বিভাগ।
পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং একাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্রের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, একজন অতিথি অধ্যাপক, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন।
১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ে এগুলো সুপারিশ করেছি। অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাববেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেছেন, “অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।”
ঢাকা/এমদাদুল/রফিক