বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু বলেছেন, সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায়; তারা দেশের ভাল চায় না, গণতন্ত্র চায় না। তারা দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু। দেশের মানুষ ভোটের আশায় রয়েছেন। তিনি বলেন, এই যুবসমাজ গত ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, তাকে ধ্বংস না করি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় বুধবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জেলা যুবদল। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে। আর নারীদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, হাসিনা সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ দেশকে ধ্বংসস্তূপে রেখে গেছে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলকে সরকার গঠনে সহযোগিতা করি।

শামা বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু তার দোসররা চারপাশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কিছু সুবিধাবাদীর ঘাড়ে চরে আওয়ামী লীগের দোসররা একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেখান থেকে সবাইকে সাবধান হতে হবে। গত ১৭ বছরে যুবদলসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। আমরা যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ঘণীভূত হবে।

জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ.

এফ.এম. কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমুখ। ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন যুবদল ফরিদুপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ