‘সংস্কারের নামে কালক্ষেপণকারীরা দেশ ও মানুষের শত্রু’
Published: 19th, March 2025 GMT
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু বলেছেন, সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায়; তারা দেশের ভাল চায় না, গণতন্ত্র চায় না। তারা দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু। দেশের মানুষ ভোটের আশায় রয়েছেন। তিনি বলেন, এই যুবসমাজ গত ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, তাকে ধ্বংস না করি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় বুধবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জেলা যুবদল। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে। আর নারীদের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, হাসিনা সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ দেশকে ধ্বংসস্তূপে রেখে গেছে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলকে সরকার গঠনে সহযোগিতা করি।
শামা বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু তার দোসররা চারপাশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কিছু সুবিধাবাদীর ঘাড়ে চরে আওয়ামী লীগের দোসররা একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেখান থেকে সবাইকে সাবধান হতে হবে। গত ১৭ বছরে যুবদলসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। আমরা যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ঘণীভূত হবে।
জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব