কিশোরগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে দুই বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বৌলাই ইউনিয়নের তের হাসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ইফতারের পর সবার অজান্তে বাড়ির উঠান থেকে শিয়াল শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে পাশের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরাফ ওই গ্রামের লিংকন মিয়ার ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

আরাফের দাদা লালু মিয়া বলেন, ইফতার শেষে ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে খেলা করছিল আরাফ। হঠাৎ তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির আশপাশে সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। গ্রামের একজন দেখেন, একটি শিয়াল বাচ্চাকে টেনে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর যাচ্ছে। তাঁর ডাকচিৎকার শুনে তাঁরা সবাই সেখানে যান। জঙ্গলের ভেতর আরাফকে পাওয়া যায়। তার গলায় কামড়ের দাগ; বুকে পায়ের নকের দাগ। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক আরাফকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরাফের বাবা লিংকন মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে বাসায় ইফতার করলাম। ইফতার শেষে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন আরাফকে খুঁজতে আমার দোকানে যায়। দোকান থেকে এসে দেখি, উঠানে আমার ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।’

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টুটুল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়েই শিশুটি মারা গেছে। এ বিষয়ে পরিবারের অন্য কোনো অভিযোগ নেই। মরদেহ আজ সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু