‘গাজা সব সময় অপরাজেয়’ বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, গাজাবাসীরা কোরআনের সঙ্গী এবং কোরআনের যোদ্ধা। বিশ্বের সব মা-ই সন্তান জন্ম দেন, কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা।

রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (শাখা-৩) মাঠে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াতের ইফতার মাহফিলে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, গাজাবাসী ভয়কে জয় করেই গাজায় বসবাস করছেন। তাঁদের জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় তাঁরা সেখানেই রয়েছে গেছেন। তিনি বলেন, মূলত বিশ্বের সব মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারও পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই। বরং যাঁর যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা নিয়েই মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

গাজায় নির্মম হামলা ও গণহত্যা বন্ধে এবং মজলুম গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।

মানবরচিত মতবাদে দেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে এত অস্থিরতা ও অশান্তি বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনকে বিজয়ী করা গেলে কোনো ধর্মের মানুষেরই সমস্যা থাকবে না। দেশের সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারও হক নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। সমাজে কোনো দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি থাকবে না। রাষ্ট্রই নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াতের আমির আবদুল মতিন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা। এ ছাড়া মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগর উত্তরের নেতা শাহ আলম, আনোয়ারুল করিম, কাফরুল উত্তর থানার আমির রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত র আম র জন ম দ ন র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ