ঈদের আগে ত্বকের যত্নে এই তিন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন
Published: 21st, March 2025 GMT
রূপচর্চাবিদরা বার বার বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকে পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে ত্বক ভেতর থেকে শুকিয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ত্বকের বাইরেও। ত্বক ন্যাচারাল উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক উজ্জ্বল করতে এই সময়ের সবজি ‘টমেটো’ ব্যবহার করতে পারেন।
টমেটো যেভাবে ত্বকের উপকার করে: এই সবজিতে আছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। এ ছাড়াও রয়েছে লাইকোপেন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। যা ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করে তো বটেই, পাশাপাশি সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা-ও মেরামত করে। টমেটো দিয়ে তেমনই তিন ঘরোয়া প্যাকের সন্ধান রইল।
মধু এবং টমেটো:দুই টেবিল চামচ টমেটো পিউরির সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১ চা-চামচ মধু। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। তারপরে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন:
ঈদে শিশুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি, যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
সুনিতা উইলিয়ামস সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
অ্যালোভেরা এবং টমেটো: ১ টেবিল চামচ টমেটো পিউরির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মুখে মেখে ২০ রেখে দিন। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবং ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।
টমেটো এবং অলিভ অয়েল: এক চা চামচ টমেটো পিউরি এবং সমপরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বককে নরমও রাখবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?