নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে (১২) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে প্রতিবেশী কিশোর (১৬) ও তার বাবাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গতকাল দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন আজ শুক্রবার দুপুরে জানান, গ্রেপ্তার বাবা-ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আগে থেকেই সেখানে ওত পেতে ছিল ওই কিশোর। ওই স্কুলছাত্রী এলে তাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এ সময় ওই কিশোরের এক বন্ধু বিষয়টি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে গেলে তারা দৌড়ে পালায়। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে তার বাবার কাছে এ ঘটনার বিচার চাইলে উল্টো ওই মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেন। এ সময় পুলিশ লোকজনদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে মেয়েটির বাবা ওই দিন দুপুরে মামলা করেন। মামলায় ওই কিশোর ও তার বাবাকে আসামি করা হয়। পুলিশ বিকেলে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ওই বখাটে শ্লীলতাহানি করেছে। বিচার চাইতে গেলে তার বাবা উল্টো ভয়ভীতি দেখানোসহ হুমকি দেয়। এ ঘটনার মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। আমি তাদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এ ব্যাপারে ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার দুই আসামিকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ওই ক শ র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ