সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন বানচাল করতে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। এ সময় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছাত্রদলের সব নেতাকর্মীদের আবারও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের অবদান ভুলে যাওয়া অসম্ভব। তবে আন্দোলন শেষ নয়, যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন সেই আন্দোলনের জন্য আবারও প্রস্তুত হতে হবে।”

আরো পড়ুন:

ইফতারে মাহফিলে বাধা, জামায়াতের সঙ্গে ছাত্রদলের হাতাহাতি

যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “জুলাই আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানাই।”

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। ভবিষ্যতে সকল ইউনিটে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন তারা। এছাড়াও গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এতে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন।

ঢাকা/মেজবা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ন ত কর ম দ র ছ ত রদল র স

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ