‎বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (জেবস) উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের পুরানা পল্টন এশিয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে আয়োজিত এই মাহফিলে বিশিষ্ট সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সমাজের নানা স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকতা শুধু তথ্য পরিবেশনের মাধ্যম নয়, এটি একটি দায়িত্বশীল পেশা যা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’

‎বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের চারটি মূল স্তম্ভের একটি হচ্ছে গণমাধ্যম। তাই সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের নির্ভুল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিকল্প নেই। সৎ ও নৈতিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে একটি মানবিক ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

‎ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (জেবস) এর সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইফতার মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জেবস-এর সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশ।

‎এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ‎ইফতার মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  অয়ন আহমেদ, ইফতার মাহফিল বাস্তবায়িত কমিটির সদস্য  রুমাজ্জল হোসেন রুবেল ও মোঃ কবির নেওয়াজ। 

এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস, এন, মোঃ নজরুল ইসলাম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ বেলাল খান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো: ইউসুফ মিয়া ও মোঃ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এ কে এম মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধক্ষ্য খন্দকার আলমগীর হুসাইন, নির্বাহী সদস্য এম মোশাররফ হোসাইন, আব্দুল্লাহ মজুমদার, ফকরুল ইসলাম, সাংবাদিক  জালাল আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম রুহান, বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার ওহাব হোসেন চৌধুরীসহ প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র ল ইসল ম অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ