ইফতারে মিষ্টি খাবার অনেকেরই পছন্দের। সে ক্ষেত্রে তৈরি করতে পারেন মজাদার ফ্রুট কাস্টার্ড। ছোট-বড় সবাই এই খাবারটি পছন্দ করবে। মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, চিনি ১ কাপ, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, জাফরান ১/৪ চা চামচ, আঙ্গুর (২ টুকরো করে কাটা), ১ কাপ কলা (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা), ১ কাপ আপেল (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা), ১ কাপ ডালিম- ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে, এক কাপ দুধ একপাশে রেখে বাকি দুধ একটি প্যানে গরম করার জন্য রাখুন। দুধ ফুটতে শুরু করলে, এতে চিনি দিন। এবার এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান যোগ করুন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এক কাপ দুধে কাস্টার্ড পাউডার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই পেস্টটি ধীরে ধীরে চুলায় থাকা দুধে ঢেলে দিন। চামচের সাহায্যে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। দুধ ঘন হতে শুরু করলে,চুলা থেকে নামিয়ে নিন। মনে রাখবেন, দুধ বেশি ফোটালে তা প্যানে লেগে যেতে পারে। চুলণা থেকে নামানোর পর ঠান্ডা হতে দিন। এজন্য একটি বড় পাত্রে দুধ ঢেলে ঠান্ডা করার জন্য একপাশে রেখে দিন। দুধ পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে, এতে কাটা ফল দিন। ফল যোগ করার পর, এটি ১ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ