রুপগঞ্জ থানা, তারাব ও কাঞ্চন পৌর জাসাস’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল
Published: 22nd, March 2025 GMT
জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, তারেক জিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি এনে দিয়েছেন।
এ পরিস্থিতি বজায় রাখতে হলে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (২২ মার্চ) রুপগঞ্জ থানা, তারাব ও কাঞ্চন পৌর জাসাস এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সানি।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়নি, তাকে পালাতে সাহায্য করা হয়েছে উল্লেখ করে সানি বলেন, বিগত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার যে দুঃশাসন দেখেছেন।
স্বাধীনতার পর ৭২ সালে তার পিতার নেতৃত্বে এ দুঃশাসন ছিল, দুর্নীতি ছিল, অত্যাচার ছিল, নির্যাতন ছিল, খুনখারাবি ছিল, গুম-খুন ছিল। বাপ-আর বেটির মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। বাবাকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেইফ এক্সিট দেওয়া হয়েছিলো। আর ৫ আগস্ট সেইফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে।
সে পালিয়ে যায়নি তাকে সহায়তা করা হয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তারা যে টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। বাহিরে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন রুপগঞ্জ থানা জাসাস এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসস এর সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আনোয়ার হোসেন সুমন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাসের সভাপতি মোঃ স্বপন চৌধুরী বলেন, ১৭ বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। দেশকে গড়ার জন্য যদি আরও ২-৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়, দেশের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য। সেই ত্যাগ স্বীকার করতেও আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা যারা জাসাস সংগঠনের সাথে জড়িত আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। টেন্ডারবাজি আমাদের চাওয়া পাওয়া নয়। সন্ত্রাস আমাদের চাওয়া পাওয়া নয়। লুটপাট আমাদের চাওয়া পাওয়া হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যে পথে হাঁটছে, বিএনপি সেই পথে হাঁটতে পারে না। কারণ আমরা জনগণের প্রত্যাশাকে, জনগণের চেতনাকে ধারণ করি।
স্বপন চৌধুরী আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক জিয়া বলেছেন আগামীতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। এই কঠিন পথ অতিক্রম করতে হলে আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে।
জনগণের সেবা করে এবং বিপদে পাশে দাড়িয়ে তাদের মন জয় করতে হবে। তাহলেই আমরা জনগনের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পাবো। নয়তো কোনভাবেই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। সুতরাং আমাদের সকলকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র জনগণ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
জ্বালানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করার অঙ্গীকার করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনোনীত যুব সংসদের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জনগণের মৌলিক অধিকার। জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই সংগ্রামের অঙ্গীকার। জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ক্যাব আয়োজিত প্রথম জ্বালানি যুব সংসদীয় অধিবেশনের শেষ দিনে আজ শনিবার এমন ঘোষণা পাঠ করে শপথ নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের এ সংসদ শেষ হয় আজ।
শপথে আরও বলা হয়, জ্বালানি সংস্কার এই জ্বালানি অপরাধীদের বিচার দাবিকে জন–আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এলাকায় লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ। তারা শিক্ষিত না হলেও এটা জানে। একটা অসমতা রয়ে গেছে। আবার কৃষিতে বিদ্যুতের যে দাম, মাছ চাষ বা পোলট্রি খাতে সেই দামে দেওয়া হয় না। এটা করতে হলে ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে। এখন বিইআরসির অনুমোদন লাগবে।
যুব সংসদের সপ্তম অধিবেশনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে টাকা লুটপাট করাই ছিল ফ্যাসিবাদের সময় মূল কাজ। গত সরকার নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে সেদিকে নজর দিয়েছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতেই হবে। বিএনপির ৩১ দফায় স্পষ্ট করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে জ্বালানি খাতে দায়মুক্তির আইন করেছে দাবি করে ওই আইন বিলোপের দাবি জানান রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, সব খাতেই সমস্যা আছে। রাজনৈতিক নেতা যদি অসৎ হয়, অস্বাভাবিক উপায়ে নেতা হন, সবকিছু তাঁরা অস্বাভাবিক উপায়ে করেন।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে দুই দিনের সংসদের সারাংশ তুলে ধরা হয়।এতে বলা হয়, এতে ১০০ ‘সংসদ সদস্য’–এর অংশগ্রহণে ১৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপনা ছিল দুই দিনের যুব সংসদে। এক হাজার নিবন্ধিত শিক্ষার্থী নিয়ে গত এক বছরে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্যদের বাছাই করা হয়।
দুই দিনের যুব সংসদে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোট আটটি অধিবেশনে জ্বালানি খাতের আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর বেশ কিছু নিবন্ধ তুলে ধরা হয়। এতে বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার সমালোচনা করা হয়। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান অংশগ্রহণকারীরা।
শেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হবে।পরবর্তী যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এ আন্দোলনের দাবি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।