চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দিদারুল আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

গ্রেপ্তার দিদারুল আলম বোয়ালখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরখিদিরপুর গ্রামের নবাব আলী সওদাগর বাড়ির মৃত গোলাম নবীর ছেলে। 

ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে জমি থেকে মেয়েকে লতাপাতা আনার জন্য পাঠিয়ে ছিলাম। সে লতাপাতা না চেনায় ওইখানে থাকা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে। সে লতাপাতা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি ঘরে নিয়ে হাত-পা বাঁধতে চাইলে মেয়ে ভয়ে চিৎকার দেয়। পরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসে এবং বিষয়টি আমাদের জানায়। এ ঘটনার বিচার চাই।’

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত দিদারুল আলমকে শনাক্ত করা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি জানান, এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে। তাকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ