নোয়াখালী সদর উপজেলার মান্নান নগর বাজারের ১৬টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের একজন মো. শাহজাহান। সততা এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর দোকানটিতে কাপড়, জুতা, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রি হতো। শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঋণ করে ঈদের জন্য ৪০ লাখ টাকার মালামাল তুলছিলাম, আরও প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল দোকানে আগে থেকেই ছিল, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এত টাকা ধারদেনা করছি, এখন কীভাবে শোধ করব কিছুই বুঝতে পারছি না। গত বছরেও এই সময়টাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।’

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারের একটি চায়ের দোকানের চুলা থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত তা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে কাপড়ের দোকান, মনিহারি দোকান, চায়ের দোকান ও মুরগি বিক্রির দোকান রয়েছে। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিরাও পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে মাইজদী স্টেশন থেকে দুটি ও সুবর্ণচর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মাইজদী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি চায়ের দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ