এই যে ‘এডিটিং’ করতেছেন...কেন এই কাজগুলো করেন: জামায়াত নেতার উদ্দেশে মির্জা আব্বাস
Published: 23rd, March 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা তাঁর দেওয়া একটি বক্তব্যকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মঞ্চে উপস্থিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মো.
এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির এক সমাবেশে উপস্থিত নেতা–কর্মীরা স্লোগান না থামানোয় মির্জা আব্বাস মেজাজ হারিয়ে বলেছিলেন, ‘ওই ব্যাটা, কার কথা কইতাছস তুই? ফাজিল কোথাকার! নবীরে ধইরা জেলে দিয়া আয়। ফাজিলগুলা কোথাকার।’
বিএনপির ওই এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার নাম নবী উল্লাহ নবী। সম্প্রতি মির্জা আব্বাসের সেই বক্তব্য সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে মির্জা আব্বাস মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে উদ্দেশ্য করে ওই কথা বলেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে।
জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইনের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘এই যে এডিটিং করতেছেন, নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন...কেন এই কাজগুলো করেন। এটা তো পরশ্রী কাতরতা, এটা অন্যকে ক্ষতি করা। এই কাজগুলো করলে মাফ পাবেন না, এটা কি জানেন?’
মির্জা আব্বাস বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করে চলে যান। পরে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন বক্তব্য দেন। তবে তিনি মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের বিষয়ে কিছু বলেননি।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জেলে থেকে পচে পচে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আপনারা যাঁরা বাইরে আছেন, আপনারা এই স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেননি। সুতরাং আমার কথা শুনুন, আমার কথা বোঝার চেষ্টা করুন। নির্বোধরা আমার কথা বুঝবে না। আমি আবারও বলি, দেশে কিংবা বিদেশে যারা নির্বোধ আছে, তারা আমার কথা বুঝবে না।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ বি এম রফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস য উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।