Samakal:
2025-06-15@20:42:58 GMT

মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের

Published: 23rd, March 2025 GMT

মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের

সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে, অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে নিট মুনাফা কমে যায় সামিট পাওয়ারের। এর পর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে আয় কমেছে প্রতিষ্ঠানটির। পাশাপাশি মুনাফাও কমেছে।
সম্প্রতি পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত হিসাব বছরের তুলনায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩৯ শতাংশ মুনাফা কমেছে সামিটের। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিট মুনাফা কমার কারণ ‘কস্ট অব সেলস’ বা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। 
কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ দুই প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মোট মুনাফা হয় ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১৯৮ কোটি ২১ লাখ টাকা বা ইপিএস ৮৯ পয়সা। অথচ বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই-অক্টোবরে কোম্পানিটি যেখানে ১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল, তা ২০২৪ সালের একই সময়ে তা প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ১ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। অর্থাৎ রাজস্বে প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির পরও মুনাফা কমার কারণ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে যেখানে ‘কস্ট অব সেলস’ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ছিল, তা বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ধারায় ছিল।
অবশ্য সামিট প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে আয় আগের বছরের ৮৩০ কোটি টাকা থেকে কমে ৭৬১ কোটি টাকায় নেমেছে। এতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১২০ কোটি টাকায় নেমেছে। এ সময়ে ইপিএস আগের বছরের ৮২ পয়সা থেকে কমে ৫০ পয়সায় নেমেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রথম প র ন ত ক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার-সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখলেও সেখানে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, হতাশার বিষয়- বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এই সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয় বরং একটি অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদের পূর্বে নির্বাচনের মাস আর তারিখ নিয়ে কথা বলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়বদ্ধতা ভুলে যাওয়ার নামান্তর। সনদ রচনার পরেই নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, দেশের স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা, পেশিশক্তির প্রদর্শনসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যেটা নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি পূর্বশর্ত।

এনসিপির এই নেতা পোস্টে আরও বলেন, নির্বাচনের মাস এপ্রিল কিংবা ফেব্রুয়ারি যেটাই হোক না কেন, তার চেয়ে মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কার গুলো হচ্ছে কিনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • মধ্যপ্রাচ্যকে ‘অতল গহ্বরে’ পতিত হওয়া রোধে ট্রাম্পের পরবর্তী
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • কী হতে পারে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণাম
  • ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার-সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ