Samakal:
2025-08-01@05:04:01 GMT

মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের

Published: 23rd, March 2025 GMT

মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের

সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে, অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে নিট মুনাফা কমে যায় সামিট পাওয়ারের। এর পর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে আয় কমেছে প্রতিষ্ঠানটির। পাশাপাশি মুনাফাও কমেছে।
সম্প্রতি পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত হিসাব বছরের তুলনায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩৯ শতাংশ মুনাফা কমেছে সামিটের। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিট মুনাফা কমার কারণ ‘কস্ট অব সেলস’ বা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। 
কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ দুই প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মোট মুনাফা হয় ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১৯৮ কোটি ২১ লাখ টাকা বা ইপিএস ৮৯ পয়সা। অথচ বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই-অক্টোবরে কোম্পানিটি যেখানে ১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল, তা ২০২৪ সালের একই সময়ে তা প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ১ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। অর্থাৎ রাজস্বে প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির পরও মুনাফা কমার কারণ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে যেখানে ‘কস্ট অব সেলস’ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ছিল, তা বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ধারায় ছিল।
অবশ্য সামিট প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে আয় আগের বছরের ৮৩০ কোটি টাকা থেকে কমে ৭৬১ কোটি টাকায় নেমেছে। এতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১২০ কোটি টাকায় নেমেছে। এ সময়ে ইপিএস আগের বছরের ৮২ পয়সা থেকে কমে ৫০ পয়সায় নেমেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রথম প র ন ত ক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত

বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাঁচজন প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের একজন স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’–এর অভিযোগ ছিল। বিভাগীয় তদন্তে তাঁরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ বুধবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বরখাস্ত করা কর্মকর্তারা হলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মনিরুজ্জামান মনি, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) আবদুল্লা আল মামুন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) ফারহানা আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মফিজুল ইসলাম। এ পাঁচজন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। একই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলামকেও বরখাস্ত করা হয়।

কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনিরুজ্জামান মনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ডক্টরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি (মঞ্জুরীকৃত প্রেষণ) নেন। প্রেষণ শেষে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আলোকে তাঁকে গত ২১ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়।

আবদুল্লা আল মামুন পিএইচডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য ছুটিতে যান। কিন্তু ছুটি শেষে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৫ মে বরখাস্ত হন।

রাহানুমা তাজনীন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইওমিংয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাই চলতি মাসের ২ তারিখ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

ফারহানা আহমেদ কানাডার রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়তে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যান। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই তাঁকে চলতি মাসের ৮ তারিখ বরখাস্ত করা হয়।

মফিজুল ইসলাম সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস পড়তে ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু এর পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে ২৭ জুলাই বরখাস্ত করা হয়।

অন্যদিকে শিরাজী তারিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ১২ মে থেকে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই তাঁকে চলতি বছরের ২১ মে বরখাস্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত শেষে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে