‘দেশটা কারও বাপের না’ বললে আমার গায়ে লাগে: মির্জা আব্বাস
Published: 24th, March 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘কেউ যদি বলে যে এই দেশটা কারও বাপের না, তাহলে আমার খুব গায়ে লাগে। কারণ, আমি এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, এ দেশটা যদি আমার বাপের না হতো তাহলে এ দেশটা আমার হতো না, আমার ছেলের হতো না, আমার নাতির হতো না। সুতরাং যাঁরা এ কথা বলেন, তারা সাবধানে বলবেন, এ দেশটা সকলের বাপের দেশ। সে জন্যই এ দেশটা আমাদের দেশ।’
আজ সোমবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ব্যক্তিদের নিয়ে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৫ তারিখের আগে যে পরিস্থিতি আমাদের ছিল, সে পরিস্থিতি আমাদের রাখতে হবে। তা যদি না হয় তাহলে এদেশের পুরো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে, দেশে এবং বিদেশে বহু চক্র কাজ করছে। গত দুই দিনের ঘটনা যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলেই বহু কিছু বের হয়ে আসবে।’
এদেশের জন্য আরও লড়ে যাবেন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি, লড়াই করেছি, আরও লড়ব, সে সম্ভাবনা চলে যায়নি।’
বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে মতামত দিয়েছে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব, যে সংস্কার হয়েছে, সেটা লোকজন দেখেনি, আর যেটা দৃশ্যমান সংস্কার হতে পারে, সেটা অবিলম্বে শুরু করেন। সেটা হলো এই যে সচিবালয়ের ভেতরে যারা সংস্কারে বাধা দেবে, বিপথগামী করবে, তারা এখনো সচিবালয়ে আছে, তাদের সরানোর ব্যবস্থা করেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন পাভেল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।