ঈদ উপলক্ষে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
Published: 26th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবহন মালিক/শ্রমিকদের অবগত আছেন যে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত নির্দেশনাবলী মেনে চলার অনুরোধ জানানো হলো।
১.
২. নির্ধারিত বাস টার্মিনাল ব্যতীত অন্য কোথাও গাড়ির যাত্রী তোলা বা নামানো যাবে না।
৩. মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চালানো যাবে না।
৪. নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৫. অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।
৬. যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা যাবে না।
৭. যাত্রীদের লাগেজ বা মালামাল বহনের ক্ষেত্রে অযথা হয়রানি করা যাবে না।
৮. যানবাহনে অতিরিক্ত মালামাল বহন করা যাবে না।
৯. ঈদের সময়ে চাঁদাবাজি বা অবৈধ অর্থ আদায় করা যাবে না।
১০. চালক ও সহকারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট ও অন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
১১. অতিরিক্ত গতি প্রয়োগ করে গাড়ি চালানো যাবে না।
১২. যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতামূলক বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
১৩. গাড়ির ভেতরে অশোভন আচরণ বা অসামাজিক কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৪. মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো যাবে না।
১৫. চলন্ত অবস্থায় চালক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না এবং গাড়ির ভেতরে গান বাজানো যাবে না।
১৬. সড়ক দুর্ঘটনারোধে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
১৭. নির্ধারিত টার্মিনাল ও কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না।
১৮. কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে।
যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে
১. সম্পূর্ণ সরকারি নির্দেশনা মেনে নির্ধারিত টার্মিনাল/কাউন্টার থেকে গাড়িতে উঠতে হবে।
২. অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করা যাবে না এবং অভিযোগ থাকলে ট্রাফিক পুলিশকে জানাতে হবে।
৩. মাদকদ্রব্য বা অবৈধ মালামাল বহন করা যাবে না।
৪. গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৫. যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি, হয়রানি বা অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখলে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশকে জানাতে হবে।
৬. জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ যোগাযোগ করতে হবে।
পথচারীদের উদ্দেশ্যে
১. জেব্রা ক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে।
২. চলন্ত বাসে ওঠানামা করা যাবে না।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন র বহন
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
পবিত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধের পর আজ রোববার দেশের সব ব্যাংক খুলেছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে লেনদেন। তবে সকালে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
রাজধানীর গুলশান ও মতিঝিলের শাখাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে। তবে টানা বন্ধের পর ব্যাংক খুললে যে ধরনের ভিড় হওয়ার কথা, তেমন ভিড় নেই। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
গুলশান ও মতিঝিলের দুটি শাখার ব্যবস্থাপক প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকে এখন নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের বেশি চাপ হয় না। ঈদের আগে নতুন নতুন টাকার জন্য শুধু চাপ হয়। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্যই বেশির ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে আসেন। ফলে টানা বন্ধ থাকলে লেনদেনে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে একটানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে।
বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।