নারায়ণগঞ্জে ইফতারে নানা পদের সম্ভার, ভিন্ন স্বাদ নিতে ক্রেতাদের ভিড়
Published: 26th, March 2025 GMT
প্রাচ্যের ড্যান্ডি–খ্যাত শিল্প ও বাণিজ্যনগরী নারায়ণগঞ্জে আগে ইফতারে খেজুর, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, শরবত ও দেশীয় ফলের প্রচলন ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইফতারে নানা পদের খাবার যুক্ত হয়েছে। রোজায় অভিজাত রেস্তোরাঁসহ খাবার হোটেলগুলোতে নানা পদ ও স্বাদের ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। রেস্তোরাঁগুলোর সামনে শামিয়ানা টাঙিয়ে শতাধিক ধরনের ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়েছে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন বেলা দুইটার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
সারা দিন রোজা শেষে পরিবারের সঙ্গে ভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় করছেন অনেকে। তবে ইফতারসামগ্রীর দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ক্রেতা। এসব দামি খাবার কেনার আবার অনেকের সামর্থ্য নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুগন্ধ্যা প্লাস, আনন্দ রেস্তোরাঁ, মনির হোটেল, সুইট নেশন, গ্র্যান্ড হোটেল, লাভিস্তা, হোয়াইট হাউজ, আলম কেবিনসহ শহরের অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোতে রোজার শুরু থেকে ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে ইফতার কেনার জন্য ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রায় প্রতিটি রেস্তোরাঁতেই রয়েছে রেশমি জিলাপি, বোম্বাই জিলাপি, মাটন হালিম, পেশোয়ারি হালিম, আলুর চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা বুট, ডিম চপ, ভেজিটেবল রোল, টানা পরোটা, চিকেন সাসলিক, হারিয়ালি কাবাব, চিকেন বল, মাস্টার্ড চিকেন, জালি চিকেন, কিমা পরোটা, চিকেন কাটলেট, হানি চিকেন, চিকেন স্টিপস, কেশর পেস্তা শরবত, মহব্বত-ই-শরবত, বাকলাভা, গোলাপজামন বেক ইয়োগাট, লাবাং, তন্দুরী চিকেন, দই, জর্দা, ফালুদা, ফিরনিসহ শতাধিক পদের ইফতারি।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় সুইট নেশনের ইফতার সামগ্রী কিনতে ক্রেতাদের ভিড়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।