আইনশৃংখলা বাহিনী সতর্ক থাকবে, ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না: স্বরাষ্ট্র সচিব
Published: 27th, March 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আইনশৃংখলা বাহিনী অনেক সতর্ক থাকবে। আশা করছি, এবারের ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী ছুটিতে নেই। তারা সব কাজের জন্য সতর্ক থাকবে। ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। তাদের যাত্রাটা আনন্দদায়ক করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে পরিবহন খাতে যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন; তাদের সহযোগিতা নিয়ে আগাচ্ছি। আশা করছি, ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না। আইনশৃংখলা বাহিনী অনেক সতর্কতার মধ্যে থাকবে। আশা করছি, আল্লাহ আমাদের রহমতের চাদরে আগলে রাখবেন।
নাসিমুল গনি বলেন, পুলিশের ২৪ ঘণ্টার চাকরি। ১৯৬১ সালে থানা শুরু হয়েছে, কিন্তু কখনো তাদের কাজ আর থামেনি। ২৪-এর আগে আর কখনো থানা বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তার অতিরিক্ত ভিজিলেন্স নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ খুব সচল রয়েছে। যাত্রীরা নিজেরাই দেখতে পারবে। আমাদের বাহিনী আগে সচল ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন সচল হয়েছে। তারা চেষ্টা করছে; এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পারফরম্যান্স নিয়ে কথা থাকতে পারে; তবে তারা চেষ্টা করছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।