গত বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সন্ধ্যা সুরি পরিচালিত সিনেমা ‘সন্তোষ’ প্রিমিয়ারের পর প্রশংসিত হয়। ৯৮ মিনিটের ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটি তৈরি হয়েছে যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায়। পরে যুক্তরাজ্য থেকে অস্কারেও মনোনীত হয়েছিল সিনেমাটি। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না। পর্দায় পুলিশি নৃশংসতা দেখানো হয়েছে, তাই ছবিটি আটকে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সার্টিফিকেশন বোর্ড। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
সিনেমাটি ভারতে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ব্রিটিশ নির্মাতা সন্ধ্যা সুরি। কিন্তু দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন ছবিটির ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, ‘সন্তোষ’-এ ভারতীয় পুলিশকে নেতিবাচকভাবে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত তাঁর হৃদয় ভেঙে দিয়েছে বলে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন সুরি।
উত্তর ভারতের এক নারী তার নিহত স্বামীর জায়গায় পুলিশের চাকরি পান। কাজে যোগ দেওয়ার পর সন্তোষ নামে সেই নারীর সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ হাজির হয়, তা নিয়েই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে।
‘সন্তোষ’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু