খুলনার কয়রা উপজেলায় কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীদের অভিযানে সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ৫০ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মায়ের খাল এলাকা হতে এই হরিণের মাংসসহ নৌকা ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শিকারিরা মাংস ফেলে পালিয়ে যায়।

বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, নিয়মিত টহলের সময় নদীর পাশ দিয়ে চলা একটি ডিঙ্গি নৌকা দেখে সন্দেহ হলে থামার সংকেত দিতেই নৌকায় থাকা লোকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত নৌকাটি তল্লাশি করে ভেতর থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে বন্যপ্রানী নিধন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুমতিক্রমে আদালত চত্বরে মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন–সংলগ্ন কয়রায় ৩০টির বেশি চোরা শিকারি চক্র ফাঁদ পেতে হরিণ নিধন করে। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী