শোরুমে গিয়ে পণ্য কেনার পাশাপাশি ঘরে বসে ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন সেলস প্ল্যাাটফর্ম থেকে কেনা যাচ্ছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য। ঈদুল ফিতরে অনলাইন মাধ্যমে ওয়ালটনের নির্দিষ্ট মডেলের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ কেনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

ওয়ালটন প্লাজার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে যেকোনো ব্যাংকের নেক্সাস, ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করলেই এ ছাড় পাওয়া যাবে। এ সুযোগ থাকছে সীমিত সময়ের জন্য।

ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট ও ব্র্যান্ড কো-অর্ডিনেটর নাফিস ইসতিয়াক জানিয়েছেন, বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসেই ফ্রিজ, এসি, টিভি, ডেস্কটপ ও ল্যাপটসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য অনলাইনে কেনার সুযোগ আছে। ওয়ালটন প্লাজা ডট.

কম.বিডি (https://waltonplaza.com.bd/) ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতারা পণ্য কেনার অর্ডার বা ফরমায়েশ দিতে পারবেন। অনলাইন থেকে কেনা পণ্য প্রায় ৭৫০টি ওয়ালটন প্লাজার মাধ্যমে সারা দেশে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

পরিবেশবান্ধব টেকসই বিদ্যুৎ নিশ্চিতে ওয়ালটনের হাইব্রিড সোলার আইপিএস সলিউশন

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবায় মিনহাজ চ্যাম্পিয়ন

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ক্রেতারা দেশীয় পণ্য কিনতে অভ্যস্ত হবেন।

এছাড়া, বাংলাদেশে প্রচলিত ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, নেক্সাস, ভিসা ও মাস্টার কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমেও অনলাইন থেকে কেনা ওয়ালটন পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে সহজেই।

অনলাইনে ওয়ালটন প্লাজা থেকে ওয়ালটনের পণ্য কেনায় ক্রেতারা পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। আছে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ। ক্রেডিট কার্ডে ইএমআইয়ের আওতায় ১২ মাসের জিরো ইন্টারেস্ট সুবিধায় পণ্য কেনার সুযোগও দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।

ঢাকা/একরাম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ