যমুনা সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও দুর্ঘটনার কারণে গতকাল শনিবার রাতে সেতুর পূর্ব প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেতুর ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়। এতে আজ রোববার সকালে যানজটের নিরসন হয়।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। রাতে সেতুর ওপর তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং দুটি গাড়ি বিকল হয়। এ কারণে গভীর রাত থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট ভোরে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়। পরে সেতুর ঢাকাগামী যানবাহন সিরাজগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়। উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করানো হয়। এতে সকাল নয়টার দিকে যানজট নিরসন হয়। তার পর থেকে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকলেও কোথাও যানজট নেই।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮ বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি বুথ দিয়ে মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক বুথে টোল নেওয়া হচ্ছে।

যমুনা সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ রুবেল বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে অন্তত ১২ বার সেতুর টোল আদায় বন্ধ ছিল।

যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।

এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবরোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ 

উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বিএসসি প্রকৌশলীদের তিন দফার প্রতিবাদে গাজীপুরে রেল ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। 

বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মাঝিরখোলা রেল ক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

শিক্ষার্থী ও রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে,  শিক্ষার্থীরা জয়দেবপুর শিমুলতলী সড়কের পশ্চিম বুরুলিয়া এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। এর পাশেই ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন৷ এতে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে৷ 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই দাবি জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াবে। 

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এর পাশাপাশি বুধবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রেললাইন ব্লক করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। 

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবরোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ