ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেই ইন্টার মায়ামি হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন লিওনেল মেসি। স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে তার গোলে ভর করে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মায়ামি। আর এই জয়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে হেরন্সরা।

এদিন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। নেমে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোল করেন। লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। তার এই গোলে ভর করে ইন্টার মিয়ামি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এটি ছিল চলতি মৌসুমে মেজর লিগে মেসির তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় গোল। এই মৌসুমে এমএলএস-এ তিনি এখন পর্যন্ত যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, প্রতিটিতেই গোল বা অ্যাসিস্ট করে দলকে সহায়তা করেছেন।

তার আগে ম্যাচের ২৩ মিনিটে রবার্ট টেইলরের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মিয়ামি। টেইলরকে এই গোলে অ্যাসিস্ট করেন বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি ও জর্দি আলবা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফিলাডেলফিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ দেন ড্যানিয়েল গাজদাগ। তবে শেষ পর্যন্ত ইন্টার মায়ামি তাদের লিড ধরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে।  

আরো পড়ুন:

মেসি-মার্তিনেজবিহীন আর্জেন্টিনা হারিয়ে দিল উরুগুয়েকে

ভোরে মাঠে নামছে মেসিহীন আর্জেন্টিনা

মেসি কিছুদিন ধরে ঊরুর সমস্যায় ভুগছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে ইন্টার মায়ামির একটি ম্যাচে এই ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে ইন্টার মায়ামির কোনো ম্যাচ না খেলায় তিনি কেবল আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোই মিস করেছেন।  

আগামী শনিবার ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন তাদের ঘরের মাঠে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে খেলবে। আর ইন্টার মায়ামি বুধবার (০২ এপ্রিল) লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে এবং পরবর্তী রোববার (০৬ এপ্রিল) টরন্টো এফসির বিপক্ষে এমএলএস ম্যাচে মাঠে নামবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইন ট র ম য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে

ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।

ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু

না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।

ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই

হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।

৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?

দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।

দলগুলো কারা

এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।

আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।

দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।

ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।

ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।

আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।

ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে