কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি ভেঙে প্রেসক্লাব দখল ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি সুজন মোহন্তকে গালিগালাজ ও ডেকে নিয়ে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোববার কুড়িগ্রাম সদর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ, শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার প্রতিনিধি সাইয়েদ আহমেদ বাবু সমকাল প্রতিনিধিকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি দেন। সুজন এর প্রতিবাদ জানাতে রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘোষপাড়ায় চক্ষু হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে তাকে না পেলে সুজনকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা সংলগ্ন এক মোটরসাইকেল শো-রুমে দেখা করতে বলা হয়। সেখানে উপস্থিত প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এরপর নাগরিক টিভির সাংবাদিকের কাছে গাড়ি বন্দক রাখার বিষয় নিয়ে এবং কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব দখল করবে সেই কমিটিতে পূর্বের নাম না অর্ন্তভুক্ত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
 
এ অবস্থায় কথা বলার এক পর্যায়ে সাইয়েদ আহমেদ বাবু শো-রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সুজনকে 'ইন্ধনদাতা' ট্যাগ দিয়ে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজের সাথে ফেসবুকে ছবি আপলোড করায় তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সুজনের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তিনি সমকালের সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকিসহ লাথি, কিল-ঘুষি মারেন, গলা চেপে ধরেন ও মারধর করেন। 

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতার এমন মারধরে সুজন অসুস্থ হলে তার দুই সহকর্মী নাগরিক টিভির ফজলুল হক ও দেশটিভির জুয়েল রানা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। 

হাসপাতালে সঙ্গে রয়েছেন তার বন্ধু অমিত চন্দ্র পাল। তিনি জানান, অভিযুক্ত সাঈয়েদ আহমেদ বাবু এখন মারধর করার কথা অস্বীকার করছেন। তবে তিনি যে ফোনে গালিগালাজ করেছেন তার প্রমাণ আছে। এছাড়া, মারধরের পর তিনি বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এখন তার গ্রুপের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'মারধরের ঘটনাটি হঠাৎ ঘটেছে, আমার করার কিছু ছিল না।'

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রেসক্লাব ভাঙার ষড়যন্ত্রে সুজন লিপ্ত না হওয়ায় পেশিশক্তি দেখিয়েছেন অপসাংবাদিকরা।' কুড়িগ্রামে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য মো.

বাদশা সৈকত বলেন, 'আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে যোগগাযোগ করা হলে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার জেলা প্রতিনিধি সাঈয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, 'সুজন ভালো ছেলে, আমি তাকে খুব পছন্দ করি। রোজার দিনে কাকতালীয়ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে।'

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর দ আহম দ ব ব ম রধর র সদস য সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ