যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশজুড়ে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রধান বিনোদনকেন্দ্র রমনা পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের নামাজ শেষে বিনোদনপ্রেমী মানুষরা পরিবার-পরিজন নিয়ে রমনা পার্কে একটু সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এসেছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে শিশু চত্বরে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কোটি মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। ফলে, চিরচেনা ব্যস্ত নগরী ঢাকা এখন ফাঁকা। যানজট না থাকায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন অনেকে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রমনা পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সের মানুষ পার্কে ঘুরতে এসেছেন। অনেকে সবুজ ঘাসের ওপর বসে আছেন। কেউ কেউ পার্কে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বিছানার চাদর নিয়ে এসেছেন। সেখানে বসে বেশ আয়েশ করে গল্প-গুজব করছেন তারা। সবুজে ঘেরা এ এলাকায় বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে। তাদের বাবা-মা সঙ্গ দিচ্ছেন। কোথাও বাচ্চারা বল দিয়ে খেলছে। শিশুদের সঙ্গে বড়দেরকেও খেলাধুলা করতে দেখা গেছে।
পার্কে লেকের পাড় ঘিরে নির্মিত রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন অনেকে। কেউ কেউ লেকে বোট রাইড করছেন। পার্কের কোনো কোনো জায়ায় কিশোর-কিশোরীরা দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ঈদের প্রথম দিন রমনা পার্ক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে রমনা পার্কের বাইরে ও ভেতরে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ফুলের দোকান। অনেকে ফুল কিনছেন। পার্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও খাবারের দোকানও দেখা গেছে।
সকালে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাঈদ হাসান। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য এমন সবুজবেষ্টিত জায়গা কমই আছে। রমনা পার্কে ঘুরতে এলেই প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়। এবার ঈদ ঢাকায় করছি, গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে। দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে। সবাই বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে।
পার্কের ভেতরে ফুল বিক্রেতা শেফালি জানান, অনেকেই ফুল কিনছেন। কেউ কেউ ফুলের মালা কিনছেন। মালা ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি।
পার্কে ঘুরতে এসে রঙিন কাগজের তৈরি চরকি হাতে পেয়ে বেজায় খুশি স্কুলপড়ুয়া মিমি। ঈদের দিন সকাল সকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে সে পার্কে ঘুরতে এসেছে। খেলাধুলা করে, আইসক্রিম খেয়ে ও খেলনা পেয়ে মিমির ঈদ বেশ আনন্দে কাটছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা আমির হোসেন।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ছ ন করছ ন আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-স্টেশন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকায় দৌলতপুর জোনাল অফিসের সাব-স্টেশন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
উদ্ধারের সময় ওই ব্যক্তির পরনে কালো চেক শার্ট, জিন্স প্যান্ট এবং মাজায় লাল রঙের একটি গামছা ছিল।
আরো পড়ুন:
খালে ভাসছিল যুবকের লাশ
ঝলসানো যুবকের মরদেহ মিলল নদীর পাশের জঙ্গলে
দৌলতপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার তৌফিকুর ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘‘ধারণা করছি, সাব-স্টেশনের ভেতরে বড় ট্রান্সফরমারের আর্থিংয়ের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিছু তার চুরিও হয়েছে। পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি চুরি করতে গিয়েছিলেন কিনা সেটা তদন্তের পরে বলা যাবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব