কুয়াকাটার স্নিগ্ধ সৈতকে ঈদ আনন্দের ঢেউ
Published: 31st, March 2025 GMT
ঈদের দিন পটুয়াখালীর কুয়াকাটার স্নিগ্ধ সমুদ্র সৈতকে যেন আনন্দের ঢেউ লেগেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দপিপাসু মানুষের ঈদ আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে সৈতকে ঈদের উৎসব বাড়তি খুশির কারণ হয়ে উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সৈকতে আনন্দ উৎসব শুরু হয়। সৈতকের স্নিগ্ধতায় খুশির জোয়ার দেখা যায় মানুষের মধ্যে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে ঈদের আনন্দে ঘুরতে আসা মানুষের ঢল। ছবি: রাইজিংবিডি
আরো পড়ুন:
জৌলুস ফিরলেও অরক্ষিত শিলাইদহের কাচারি বাড়ি
সাজেকে যেতে পারবেন পর্যটকরা
পটুয়াখালী জেলার পাশাপাশি বরগুনাসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের আগমনে সৈতকে ঈদের দিনটি রঙিন হয়ে ওঠেছে। অবশ্য ঈদের দিনে স্থানীয়দের ভিড় থাকলেও পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) থেকে দেশের নানা প্রান্তের এবং বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি থাকবে।
সোমবার দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈতকে গিয়ে দেখা যায, ঈদ উদযাপনে আনন্দমুখর মানুষ সৈকতের বালিয়াড়িতে হইহুল্লোড় করছেন। অনেকে আবার সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ।
বিভিন্ন বাহনে চড়ে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ সৈকতলাগোয়া দোকানপাটে কেনাকাটা করছেন।
কথা বলে জানা গেল, কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ অগ্রিম বুকিং নিয়েছেন পর্যটকরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সেখানে সময় কাটাবেন। কেউ কেউ রাত্রিযাপনও করবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি ও বৌদ্ধ বিহারসহ সব স্পটে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিত দেখা গেছে। আগতদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
ঈদের দিন সোমবার কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা মানুষের ভিড়। ছবি: রাইজিংবিডি
ঈদের দিন বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা রুবেল হোসেন বলেন, “ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কেটেছি। বেশ দারুন সময় পার করছি। সন্ধ্যার পর আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাবো “
সৈতকে ইয়াসিন-সায়মা দম্পতির খুশি মনে ঘুরছিলেন। গলাচিপা থেকে আসা এই দম্পতির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুপুর ১টায় কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন তারা। সৈকতের পরিবেশটা বেশ দারুন লেগেছে তাদের। সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তবে হোটেলের ভালো রুম পেলে রাত্রিযাপন করতে পারেন তারা।
ঈদের দিন সোমবার কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা মানুষের ভিড়। ছবি: রাইজিংবিডি
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। আশা করছি, দর্শনার্থী ও পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবে।”
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ ঈদ র দ ন স কত র স মব র আনন দ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ
একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!
প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।
আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগেমাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।
এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্যাপন