ঈদের দিন দেশের সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। এর মধ্যে, বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের লোহাগড়ায়। সেখানে বাসের সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে পৃথক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, গাজীপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুইজন, মেহেরপুরে মাইক্রোবাসের চাপায় দুইজন এবং নাটোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাগুরা এবং ঝিনাইদহে একজন করে মারা গেছেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাইজিংবিডির প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

আরো পড়ুন:

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় বাসের সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রাখাল চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘‘চুনতি এলাকায় বাস-মিনিবাসের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে।’’

বগুড়া

বগুড়ায় ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘ঈদের দিন বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন শাহ আলম, তার কন্যাশিশু ও শ্বশুর। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অজ্ঞাত গাড়ি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়।’’

অপরদিকে, বগুড়ার শেরপু‌রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অলক না‌মের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জয়দেব নামের মোটরসাইকে‌লের আরেক আরোহী।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বলেন, ‘‘অলক ও জয়দেব মোটরসাইকেলযো‌গে ঝুপু‌নিয়া আঞ্চলিক সড়ক দি‌য়ে যাচ্ছিলেন। গতি বেশি থাকায় মোটরসাইকে‌লের নিয়ন্ত্রণ হারি‌য়ে সড়কের ওপর প‌রে যান তারা। এতে দুজনই আহত হন। স্থানীয়রা তা‌দের‌ উদ্ধার ক‌রে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অলককে মৃত ঘোষণা করেন।’’

গাজীপুর

গাজীপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগ্নি। ঘটনার পরে স্থানীয়রা যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে একটি অটোরিকশায় শিউলি বেগম এবং তাবাসসুম নরসিংদীতে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

গাজীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেহেরপুর

মেহেরপুরে মাইক্রোবাসের চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। নিহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের হাসানুজ্জামানের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ও গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন।

মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম রেজা বলেন, ‘‘বেপরোয়া গতিতে একটি মাইক্রোবাস আমঝুপি মেহেরপুর শহরে যাচ্ছিল। পথে একটি মোটরসাইকেল ও ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানা পিলারে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটি। এতে মোটরসাইকেলের দুই ও ভ্যানের দুই আরোহীসহ পাঁচজন আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’’

নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আব্দুল্লাহ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘বিকেলে লক্ষ্মীকোল বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন আব্দুল্লাহ। বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে যেতেই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে নিহত ও আহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন রহমান বলেন, ‘‘বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে অটোরিকশায় থাকা একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।’’

‘‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’’- যোগ করেন তিনি।

মাগুরা

মাগুরার রামনগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাগুরা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, ‘‘রামনগর বাজার মোড় এলাকায় হাইওয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়েছে। তবে, চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’’

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আলমসাধুর চাপায় আরিফ হোসেন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের চাচাতো ভাই ও আলমসাধুর চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘‘দুই ভাই সারাদিন আখের রস বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি আলমসাধু চালাচ্ছিলাম, আর আরিফ আলমসাধুর উপরে থাকা রস চাপা মেশিন ধরে বসে ছিল। ফুলবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে গাড়ির সামনের চাকা খাদে পড়ে। সে সময় আরিফ উপর থেকে নিচে পড়লে ওর মাথার ওপর দিয়ে চাকা চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’

ঢাকা/রেজাউল/এনাম/রেজাউল/ফারুক/আরিফ/রুবেল/শাহীন/শাহরিয়ার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত ন শ চ ত কর ছ ন ব র হ মণব ড দ র ঘটন য় ঈদ র দ ন চ ক ৎসক উপজ ল র দ ইজন ত নজন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া

চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।

এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।

এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’

চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ