আট মাস পর হাসান মাহমুদকে দেখা গেল লন্ডনে
Published: 1st, April 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় আট মাস পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে।
স্থানীয় সময় রবিবার লন্ডনে একটি ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে দেখা যায় হাসান মাহমুদকে। লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকার আল-কালাম মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে অনেকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি আলোচিত নেতা হাছান মাহমুদকে। তিনি দেশে নেই— এমন গুঞ্জন ছিল। অনেকে বলতেন, তিনি বেলজিয়ামে চলে গেছেন। কারণ, সেদেশটির নাগরিক তিনি। তবে এই আট মাসে কোথাও তার উপস্থিতি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এবার লন্ডনে হাসান মাহমুদের উপস্থিতি ধরা পড়ল ছবিতে। ঈদের নামাজ শেষে পরিচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। সেখানে তার উপস্থিতির কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবির একটিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায় হাছান মাহমুদকে। আরেকটি ছবিতে হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, আনাস পাশার ছেলে ও আইটিভির সাংবাদিক মাহাথির পাশাকে দেখা যায়। আরো দুই কিশোরকে ওই ছবিতে দেখা যায়।
সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা প্রবাসী সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশে বেশ পরিচিত। লন্ডনে বাঙালিদের মধ্যে তার নাম-যশ রয়েছে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ছবিতে হাছান মাহমুদের ডান পাশের দুজনের একজন খুব সম্ভবত ওনার ছেলে এবং অপরজন ভাতিজা।
রবিবার লন্ডনে ঈদের নামাজের পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের সঙ্গে কোলাকুলি করেন হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আনাস পাশার তথ্য অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামেই থাকেন। লন্ডনে তার ছেলে পড়ালেখা করেন। ছেলের সঙ্গে ঈদ করতে তিনি লন্ডনে আসেন।
সৈয়দ আনাস পাশা বলেন, “যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক সম্পর্কে আমার চাচা এবং লন্ডনে আমরা একই এলাকায় বাস করি। নামাজ শেষে তিনি হাছান মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।”
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি