সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫০
Published: 2nd, April 2025 GMT
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামে এ সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া এলাকার ডিগ্রি কলেজ মাঠে গত ৩১ মার্চ বিকেলে সিগারেট খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের কথাকাটাটি হয়। এ বিষয়টি নিয়ে রান্ধুনীমুড়া এলাকার পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ার লোকজন মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে এ সংঘর্ষ চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রথমে পুলিশ চেষ্টা করে সংঘর্ষ ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫