‘এসো স্মৃতির গ্রামে, মিলি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে’ স্লোগানে শিশু থেকে তরুণ ও বৃদ্ধদের অংশগ্রহণে ঈদ উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। ঈদের ছুটিতে স্মৃতিঘেরা গ্রামে ফিরে এমন আয়োজন করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদিয়া গ্রামবাসী। তাঁদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিনব্যাপী জুঙ্গুরদি আভা মাঠে দিনব্যাপী নানা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ উৎসব ও মিলনমেলা উপলক্ষে সকাল ১০টার দিকে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন গ্রামের গুনী বয়োজ্যেষ্ঠরা। পরে রঙবেরঙয়ের টি-শার্ট গায়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে জুঙ্গুরদি বাস স্ট্যান্ড প্রদিক্ষণ করে শেষ করে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধ শুরু হয় ছাত্র ও পেশাজীবীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা দিয়ে। পরে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে হামদ-নাদ, গজল, কোরআন তেলওয়াত, কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা হয়। শিশু-কিশোরদের মাঝে বয়সভিত্তিক দৌড়, বয়স্কদের হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বয়সীদের নানা প্রদর্শনী হয়। যা দেখতে জুঙ্গুরদিয়া গ্রামবাসী ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে। 

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিনোদন কেন্দ্রে আনন্দে মেতেছে শিশুরা

১৬ বছর পর মুক্ত পরিবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঈদ

অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ওই গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মাদ তারেক হাসান। তিনি শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মময় ব্যস্ত জীবনের মাঝে ঈদের ছুটিতে শৈশব স্মৃতিতে ফিরে যেতে এই আয়োজন করা হয়েছে। আমরা নতুন আঙ্গিকে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। সেই লক্ষ্যে আজ থেকে প্রতিবছর ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে। এটি শুধু উৎসব নয়, আমাদের গ্রামের গুণীজন ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননাও দেওয়া হবে। আমাদের এই গ্রামকে দেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে গড়তে চাই।’’ 

গ্রামে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে উৎফুল্ল শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা। তারা, হিংসা-বিভেদ, হানাহানি দূর করে শান্তিপূর্ণ গ্রাম গড়তে আজ যেন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন অনেকে।

এ অনুষ্ঠানে উল্লেখ্যযোগ্যদের অংশগ্রহণ করেন, নগরকান্দার ঐতিহ্যবাহী এম এন একাডেমীর সাবেক প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বাবলু, ডা.

মঈনুল হাসান আবিদ, ডা. সাইফুল্লাহ্ আল নোমান, আব্দুল আওয়াল মিয়া, রেজাউল করিম সেলিম, মো. ফেরদৌস মুন্সি, মো. হেলাল উদ্দিন হেলাল, আজাদ মুন্সী, হোসাইন মাহমুদ, আরমান আহমেদ, ইখলাস মুন্সী, আয়ুব মুন্সী, রবিউল ইসলাম লিখন, এহসানুল হক, আশিকুর রহমান প্রমুখ। 

ঢাকা/তানিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদ উৎসব গ র মব স অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ

একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!

প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।

ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।

আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগে

মাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।

এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।

ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’
  • আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট
  • যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ