নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘ  ১৭টি বছর পর আমরা পবিত্র মাহে রমজান মাসে স্বাচ্ছন্দে আল্লাহর ইবাদত করেছি রোজা রেখেছি। এবং রমজান শেষে আমরা অন্তত আনন্দ গণপরিবেশে আমরা ঈদ উদযাপন করেছি।

তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। বিগত দিনগুলোতে আমরা হয়তো বা জেলে কিংবা পলাতক জীবন যাপন করেছি। আমাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে আমরা ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারি নাই।

এতো বড় স্বৈরাচার হঠাৎ করে প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে আর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাব তা কখনো ভাবতে পারিনি। 

এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের কারো কোন কৃতত্ব নাই। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সঠিক, কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে এই বিজয় আসেনি, এটা আল্লাহ প্রদত্ত। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ। 

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতৃবৃন্দদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের শ্রদ্ধীয় নেতা। মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন যুদ্ধ করেছেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন। পরবর্তী সময় একদলীয় শাসন ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই বিএনপির মাধ্যমে তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন। 

জনগণের ওপর আস্থা নিয়ে জনগণের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন।  নারায়ণগঞ্জে নতুন রাজনীতি ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সম্মানিত করেছিলেন।

তার অবর্তমানে তার সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে আপোষহীন নেত্রী খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ও দেশ পরিচালনা করেছেন। 

তিনি বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা জুলুম অত্যাচারের করেছে এদেশের মানুষের উপর। এই দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা অবৈধভাবে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এত নিকৃষ্ট ও জঘন্য চরিত্রের রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বের আর কোন দেশে নাই। এত চুরি বাটপারি ও এতো অর্থ আত্মসাৎ আর কেউ কোনদিন করতে পারবে না। দেশটাকে শূন্য করে ফেলেছেন। 

নিরীহ ছাত্র জনতার আন্দোলনে রিজাইন দিয়ে দেখ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই যে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তার জন্য তো বহু নেতাকর্মী কাজ করেছে কিন্তু শেখ পরিবারের লোকজন ছাড়া কাউকে তিনি সাথে নিয়ে যাননি। আমি বুঝতে পারিনা যারা এখনো আওয়ামী লীগ করে তারা কিসের জন্য আওয়ামী লীগ করে। 

তারা বুঝার চেষ্টা করো না যে তার মতন খারাপ মানুষ বাংলাদেশের দ্বিতীয়টা হবে না। তিনি কিন্তু শেখ পরিবারের একজন করে রেখে যায়নি। তাহলে বিপদগ্রস্ত কারা যারা শেখ হাসিনাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। যারা দীর্ঘদিন তার জন্য এতো কিছু করল তাদের জন্য কোন কিছুই চিন্তা ভাবনা নেই, এই পরিবার নিজেরটা ছাড়া কারোটাই বুঝেনা। 

তারা নিজের স্বার্থের বাইরে অন্যের স্বার্থ বুঝেনা। নিজের স্বার্থকে হাসিল করার জন্য তারা মানুষকে অনেক আশা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহার করে সে দেশটাকে লুটপাট করে পালিয়ে গেছে। এখন তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে দেশকে অস্থিতিশীল করা পায়তারা করছে। দেশে দুর্নাম ও দেশের মানুষের ক্ষতি করার জন্য। 

তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আপনারা জানেন তার বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে রয়েছেন। বিদেশে থেকে তিনি স্বৈরাচারী বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন।

আমাদেরকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের রূপরেখা দিয়েছিল। কে অনুযায়ী কিন্তু আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। 

এই স্বৈরাচারী সরকার দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে দেশের আইনের শাসন থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারই জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের মাধমে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এদেশের অনেক ধরনের পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতেন এবং দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। এ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং মানুষের অর্থনীতি কে উন্নত লক্ষ্যে তিনি সব সময় চিন্তাভাবনা করছেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন কর ছ ন র জন য আম দ র ন কর ছ পর ব র ত র জন আল ল হ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।” 

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে। 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
  • ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
  • ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
  • পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
  • হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা
  • প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট, ইউনিয়ন পরিষদটিতে চার মাস ধরে সব সেবা বন্ধ
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন, না তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ?
  • স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে: