আন্দোলন সংগ্রামে এই বিজয় আসেনি, এটা আল্লাহ প্রদত্ত : গিয়াস উদ্দিন
Published: 3rd, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর পর আমরা পবিত্র মাহে রমজান মাসে স্বাচ্ছন্দে আল্লাহর ইবাদত করেছি রোজা রেখেছি। এবং রমজান শেষে আমরা অন্তত আনন্দ গণপরিবেশে আমরা ঈদ উদযাপন করেছি।
তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। বিগত দিনগুলোতে আমরা হয়তো বা জেলে কিংবা পলাতক জীবন যাপন করেছি। আমাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে আমরা ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারি নাই।
এতো বড় স্বৈরাচার হঠাৎ করে প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে আর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাব তা কখনো ভাবতে পারিনি।
এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের কারো কোন কৃতত্ব নাই। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সঠিক, কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে এই বিজয় আসেনি, এটা আল্লাহ প্রদত্ত। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতৃবৃন্দদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের শ্রদ্ধীয় নেতা। মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন যুদ্ধ করেছেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন। পরবর্তী সময় একদলীয় শাসন ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই বিএনপির মাধ্যমে তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন।
জনগণের ওপর আস্থা নিয়ে জনগণের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। নারায়ণগঞ্জে নতুন রাজনীতি ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সম্মানিত করেছিলেন।
তার অবর্তমানে তার সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে আপোষহীন নেত্রী খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ও দেশ পরিচালনা করেছেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা জুলুম অত্যাচারের করেছে এদেশের মানুষের উপর। এই দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা অবৈধভাবে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এত নিকৃষ্ট ও জঘন্য চরিত্রের রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বের আর কোন দেশে নাই। এত চুরি বাটপারি ও এতো অর্থ আত্মসাৎ আর কেউ কোনদিন করতে পারবে না। দেশটাকে শূন্য করে ফেলেছেন।
নিরীহ ছাত্র জনতার আন্দোলনে রিজাইন দিয়ে দেখ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই যে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তার জন্য তো বহু নেতাকর্মী কাজ করেছে কিন্তু শেখ পরিবারের লোকজন ছাড়া কাউকে তিনি সাথে নিয়ে যাননি। আমি বুঝতে পারিনা যারা এখনো আওয়ামী লীগ করে তারা কিসের জন্য আওয়ামী লীগ করে।
তারা বুঝার চেষ্টা করো না যে তার মতন খারাপ মানুষ বাংলাদেশের দ্বিতীয়টা হবে না। তিনি কিন্তু শেখ পরিবারের একজন করে রেখে যায়নি। তাহলে বিপদগ্রস্ত কারা যারা শেখ হাসিনাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। যারা দীর্ঘদিন তার জন্য এতো কিছু করল তাদের জন্য কোন কিছুই চিন্তা ভাবনা নেই, এই পরিবার নিজেরটা ছাড়া কারোটাই বুঝেনা।
তারা নিজের স্বার্থের বাইরে অন্যের স্বার্থ বুঝেনা। নিজের স্বার্থকে হাসিল করার জন্য তারা মানুষকে অনেক আশা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহার করে সে দেশটাকে লুটপাট করে পালিয়ে গেছে। এখন তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে দেশকে অস্থিতিশীল করা পায়তারা করছে। দেশে দুর্নাম ও দেশের মানুষের ক্ষতি করার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আপনারা জানেন তার বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে রয়েছেন। বিদেশে থেকে তিনি স্বৈরাচারী বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন।
আমাদেরকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের রূপরেখা দিয়েছিল। কে অনুযায়ী কিন্তু আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
এই স্বৈরাচারী সরকার দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে দেশের আইনের শাসন থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারই জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের মাধমে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এদেশের অনেক ধরনের পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতেন এবং দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। এ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং মানুষের অর্থনীতি কে উন্নত লক্ষ্যে তিনি সব সময় চিন্তাভাবনা করছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন কর ছ ন র জন য আম দ র ন কর ছ পর ব র ত র জন আল ল হ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান সাবেক শাহের পুত্রের
ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি। ইসরায়েলের আক্রমণে যখন ইরানে প্রতিনিয়ত হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে তখন তিনি এ আহ্বান জানালেন।
রেজা পাহলভি ইরানের সাবেক রাজা মোহাম্মদ রেজা শাহের পুত্র। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। রেজা বর্তমানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেজা পাহলভি দাবি করেছেন, ইরানের সাধারণ মানুষ দেশটির সরকারের বিরোধিতা করে। তারা ইসরায়েলের আক্রমণে ‘পুনরায় উজ্জীবিত’ হয়েছে। এর ফলে ইরানের সিনিয়র সামরিক নেতারা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “চূড়ান্ত সমাধান হল শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন, এবং এখন আমাদের কাছে একটি সুযোগ রয়েছে কারণ এই শাসনব্যবস্থা তার দুর্বলতম পর্যায়ে রয়েছে।”
সাবেক এই যুবরাজ বিশ্বশক্তিগুলোকে ‘অলস বসে না থাকার’ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বশুক্তিগুলোর উচিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বাইরে তারা ইরানি জনগণকে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতি সমর্থনের অনুভূতি দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তা স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা উচিত।
পাহলভি দীর্ঘসময় ধরে ইরানের বিপ্লবী শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদেশীদের সক্রিয়ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন।
ইরানে হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে ইরানি জনগণের প্রতি একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ইরানিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ইসলামী বিপ্লবীদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার এখনই উপযুক্ত সময়।
ঢাকা/শাহেদ