কোপা ডেল রের ফাইনালে আরও এক ‘এল ক্লাসিকো’
Published: 3rd, April 2025 GMT
স্প্যানিশ কোপা ডেল রের সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথম লেগ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছিল। ফিরতি লেগ অ্যাটলেটিকোর মাঠে হলেও বার্সাকে পেছনে ফেলতে পারেনি তারা। উল্টো ঘরের মাঠে তারা বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন বার্সেলোনার ফেরান তোরেস।
এই জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনা ৫-৪ ব্যবধানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে কোপা ডেল রের ফাইনালে উঠেছে।
এ নিয়ে ৪২তম বারের মতো ফাইনালে উঠলো বার্সা। সবশেষ তারা ২০২০-২০২১ মৌসুমে কোপা ডেল রের ফাইনালে উঠেছিল এবং শিরোপা জিতেছিল। চার বছর পর তারা আবারও ফাইনালে নাম লেখালো। এবং ফাইনালে তারা পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে। আগামী ২৬ মার্চ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। অর্থাৎ ফুটবলপ্রেমীরা আরও একটি এল ক্লাসিকো দেখার সুযোগ পাবেন।
আরো পড়ুন:
হামজার আগমনে র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ
মেসির একাদশে ফেরার ম্যাচে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় মায়ামি
এর আগের দিন রিয়াল মাদ্রিদ অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে ৪-৪ গোলে ড্র করে এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে নাম লেখায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।