সিলেটের আল-হারামাইনে কেন এসেছিলেন নাহিদ ইসলাম
Published: 5th, April 2025 GMT
সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সিলেট আগমন নিয়ে তোলপার চলছে। আকষ্মিক আলোচিত ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসিরের সিলেটের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আল হারামাইন হসপিটাল পরিদর্শন করার পর তোলপাড় শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সস্ত্রীক সিলেটে পৌঁছে নাহিদ ইসলাম নগরীর সোবহানিঘাট এলাকার আল হারামাইন হাসপাতালে যান। বিষয়টি শুক্রবার জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
সম্প্রতি ব্যবসায়ী নাসেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে হুন্ডি ব্যবসাসহ সিলেটে তার বাসা কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ অবস্থায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নাহিদ ইসলামের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
তবে হাসপাতালের জিএম পারভেজ আহমদ সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন নাহিদ। অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দেখিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এনসিপি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে (বিএস-৫৩৫) স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে সিলেট আসেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিকেল ৩টার দিকে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত আল হারামাইন হাসপাতালে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর সড়কপথে মৌলভীবাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। আজ শনিবার তিনি ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশে কোটি কোটি পাচারের অভিযোগ উঠে। আতর ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি ৫ আগসেটর পর তার বিলাসবহুল বাড়ি কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন অবস্থান করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। দুদক ও এনবিআর তার সম্পদের গোপন রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ন হ দ ইসল ম অবস থ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানি কম যে কারণে
ইরানে নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলার পর পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরান। হামলার তীব্রতাও বাড়ছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ এবং আগাম সতর্কতার কারণে ইসরায়েলে প্রাণহানি কম হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড অ্যাপ’।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ১৫-৩০ মিনিট আগেই সতর্কবার্তা পেয়ে যাচ্ছেন ইসরায়েলিরা। এরপর তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন বোমা সুরক্ষা কেন্দ্র (বোম্ব শেল্টার) ও নিরাপদ কক্ষে। প্রাণহানি এড়াতে ‘বোম্ব শেল্টার’ ও নিরাপদ কক্ষের কার্যকারিতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’ শনিবার জানিয়েছে, তারা ইরানের সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫-৩০ মিনিট আগে ইসরায়েলিদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠানো শুরু করেছে, যাতে মানুষ বোম্ব শেল্টারে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পান।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড অ্যাপের মাধ্যমে এই আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টারের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, যাঁদের বাড়িতে বোমা প্রতিরোধী কক্ষ নেই, তাঁদের সময়মতো আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এটি সহায়তা করবে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সাধারণত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক মিনিট আগেই ইরানি সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে হামলার বিষয়টি শনাক্ত করতে পারে।
একবার নিশ্চিত উৎক্ষেপণ শনাক্ত হলেই হোম ফ্রন্ট কমান্ড তাদের অ্যাপ ও মুঠোফোন সম্প্রচার পদ্ধতি (সেল ব্রডকাস্ট সিস্টেম) উভয়টি ব্যবহার করে একটি আগাম সতর্কতা দেয়, যাতে বেসামরিক নাগরিকেরা বোম্ব শেল্টারে যেতে পারেন। শুক্রবার থেকে এমনটি করে করে আসছে হোম ফ্রন্ট কমান্ড। এতে বেসামরিক নাগরিকেরা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে প্রায় ১০ মিনিট সময় পাচ্ছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার প্রায় ৯০ সেকেন্ড আগে সাইরেন বাজে। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই তাৎক্ষণিক বোম্ব শেল্টারে প্রবেশ করতে হবে আর ‘অল-ক্লিয়ার (সবকিছু স্বাভাবিক)’ বার্তা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে।
শুক্রবার রাতে ইরান যখন প্রথম ধাপে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন হোম ফ্রন্ট কমান্ড বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টারের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেয়। শনিবার বিকেলে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ হয়েছে বলে মনে হলে তারা বেসামরিক নাগরিকদের বোম্ব শেল্টার ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি এবং সেগুলোর কাছাকাছি থাকার আর প্রয়োজন হবে না, এমন একটি হালনাগাদ বার্তা দেবে। যদি আরেকটি হামলার আশঙ্কা থাকে, তবে শুরু থেকে যে প্রক্রিয়াটি মেনে চলা হয়েছে, তা একইভাবে অনুসরণ করা হবে।
হোম ফ্রন্ট কমান্ড জোর দিয়ে বলেছে, ভবন বা স্থাপনার ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ের জায়গা বোম্ব শেল্টার হিসেবে বিবেচিত হবে না, যদি না এটি সেভাবে উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের হাইফায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রের চিত্র